আউটসোর্সিং কি? আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব

বন্ধুরা আউটসোর্সিং আমরা অনেকে এই কথাটি শুনে থাকি। কিন্তু আউটসোর্সিং কি ভাবে শুরু করতে হয় বা আউটসোর্সিং কি এ বিষয়ে কোনো প্রথমে ধারণা থাকে না। সেজন্য আজকে আপনাদের আউটসোর্সিং শব্দটি একটি কোম্পানিকে সাহায্য করা। আর এই আউটসোর্সিং কথাটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

আউটসোর্সিং কি?

বর্তমানে আউটসোর্সিং হল এমন একটি ব্যবসা যেখানে একটি কোম্পানি তার নিজস্ব কাজের জন্য বাইরে থেকে লোক নিয়োগ না করে অন্য একটি কোম্পানির সাহায্য নিয়ে এই পরিষেবা প্রদান করে থাকে এবং পণ্য তৈরি এবং বিপণন কাজগুলো করিয়ে থাকে এই আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে।

একটি নির্দিষ্ট কোম্পানি যারা বাইরে থেকে কর্মী নিয়োগ করা থেকে শুরু করে অন্য কোম্পানির সাহায্য দেওয়া কে আউটসোর্সিং বলা হয়। একটি কোম্পানি জায়গার অভাবকর্মীদের অভাব বা কাজের অতিরিক্ত চাপের কারণে কোম্পানি আউটসোর্সিং কাজে জন্য করে থাকে। আর এই আউটসোর্সিং করবার কারণে কোম্পানি খরচ অনেক কমে যায়।

বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটে সংস্থান করলে হলো আউটসোর্সিং এর উদাহরণ। এরা বিভিন্ন কোম্পানির সার্ভিস সমূহ কে প্রোভাইডার করে থাকে এবং কেউ কোম্পানি নিজস্ব কর্মী নয়।সেজন্য বিভিন্ন কোম্পানি এপ্লিকেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং মার্কেটিং এর মত অতি জরুরী কাজগুলো অন্য ব্যক্তি বা কোম্পানির কাছ থেকে করে নেওয়া কে আউটসোর্সিং মনে হয়ে থাকে। একটি কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানির হাত দিয়ে যে কোন ব্যক্তি এ কাজটি নিয়েছে তার জন্য কাজটি সম্পূর্ণ করার পর নির্দিষ্ট কোম্পানি কাছ থেকে বোঝেনা কে আউটসোর্সিং হিসেবে ধরা হয়।

আউটসোর্সিং কাকে বলে?

কোম্পানির নির্দিষ্ট কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের বাইরে থেকে কর্মী নিয়োগ করা বা অন্য কোম্পানির সাহায্য নেওয়া কে আউটসোর্সিং বলে। এ প্রক্রিয়ার টির নাম হল আউটসোর্সিং।

বর্তমানে কিছুদিন কাজগুলি করানোর জন্য কোম্পানির তার নিজস্ব লোকের থেকে অন্য কাউকে দিয়ে কাজ করানো খরচ কম হওয়ার কারণে অন্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে কম খরচে কোনটা কোন জায়গায় কাজগুলো করে নেওয়া হয় এটা হল আউটসোর্সিং।

আউটসোর্সিং কত প্রকার ও কি কি?

আউটসোর্স মূলত তিন প্রকারের হয়ে থাকে এই তিনটি প্রকার একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির আউটসোর্সিং কি হিসেবে চুক্তি অনুযায়ী ভাগ করা হয়, তিন প্রকারে আউটসোর্সিং সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

অফসোর আউটসোর্সিং

একটি দেশের একটি কোম্পানি যখন অন্য দেশ থেকে একটি কোম্পানিকে তার পরিষেবা গুলি পৌঁছানোর জন্য বা তার কাজগুলি সম্পন্ন করার জন্য নিয়োগ করে থাকে এবং তাদের সাথে একটি যুক্তিবদ্ধ স্বাক্ষর করে তখনই তাকে অবসর আউটসোর্সিং বলে। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের একটি কোম্পানি আমেরিকা থেকে তাদের পরিষেবা সাথে চুক্তি করেছে।

অনসোর আউটসোর্সিং

এ আর সরষে নিয়ে যখন একটি দেশ একটি কোম্পানি একটি দেশের একটি কোম্পানিকে তার পরিষেবা গুলো পৌঁছানোর জন্য বা তার কাজ সম্পন্ন করার জন্য নিয়োগ করে তাকে এবং তাদের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে তখনই তাকে অনসোর আউটসোর্সিং বলে। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের একটি কোম্পানি অন্য একটি বাংলাদেশের কোম্পানি পরিষেবা সাথে যুক্ত নিচ্ছে এটাই অনশোর আউটসোর্সিং।

আউটসোর্সিং নেয়ারশোর

আর সোর্সিং হলো একটি কোম্পানি তার কাজ সম্পন্ন করার জন্য যখন কাছাকাছি একটি কোম্পানিকে নিয়োগ করে। তখন তাকে নিয়ে নিয়ারশোর  আউটসোর্সিং বলা হয়।অর্থাৎ যে কোন একটি শহরে কোম্পানির যদি একই শহরে কোম্পানিকে তার কাজ সম্পন্ন করার জন্য নিয়োগ দেয়, তখন তাকে নিয়ারশোর আউটসোর্সিং বলে। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশে একটি বিভাগীয় শহরে কোম্পানি তার শহরে থাকা অন্য কোম্পানি থেকে পরিষেবা গ্রহণ করছে।

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কি কি কাজ করা যায়

আপনি যদি আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করতে চান তাহলে এখানে দেওয়া যে কোন একটি যোগ্যতা হিসেবে আপনার মধ্যে থেকে তাহলে আপনি যেকোনো একটি কাজ বেছে নিতে পারেন।

আউটসোর্সিং এর  জনপ্রিয় কাজগুলো

আইটি এ সাপোর্ট বিশেষজ্ঞ হিসাব রক্ষক ট্যাক্স প্রস্তুতকারী ব্যক্তিগত সরকারি মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ গ্রাহক সহায়তা প্রতি নিধি

• কম্পিউটার প্রোগ্রামার
• ওয়েব ডিজাইন ওয়েব ডেভলপার
• সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
• মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ
• আইন পরামর্শ
• লেখক
• প্রো রিডার
• ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট
• ইত্যাদি

আউটসোর্সিং কিভাবে শুরু করব?

যদি আপনি আউটসোর্সিং শুরু করতে চান সেজন্য আপনাকে যেকোনো একটি কাজে দক্ষ হতে হবে। এরপর আপনাকে দক্ষ অনুযায়ী আপনার বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কাজ খুঁজে নিতে পারবেন আপনি নিজেই।

আউটসোর্সিং শুরু করার জন্য আপনি এই সকল ওয়েবসাইটগুলো থেকে কাজ খুঁজে বের করে নিতে পারেন যেমন

• Upwork.com
• Freelancer.com
• Designhill.com
• Guru.com
• Fiverr.com
• AmazonmechanicalTurk.com

এ সমস্ত ওয়েবসাইটগুলো মধ্যে থেকে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে আউটসোর্সিং কাজ করে মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব?

আউটসোর্সিং শেখার উপায় সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদের জানাবো। প্রথমে আপনার আগ্রহ অনুযায়ী একটি অনলাইন কাজ খুঁজে বের করুন। এরপর একটি নির্দিষ্ট কাজ শিখতে শুরু করুন। কাজটি শেখার জন্য আপনি ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখতে পারেন সেই সাথে কাজটির সম্পর্কিত বই পড়তে পারেন কোন কোর্স করতে চান বা পারেন কোন কলেজ থেকে ডিগ্রী নিতে পারেন।

এভাবে আপনি আপনার পছন্দের কাজটি শিখতে পারবেন এবং সেই সাথে কাজটির মাধ্যমে আপনি আউটসোর্সিং করে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।

আউটসোর্সিং কাজ করার নিয়ম?

আউটসোর্সিং এর কাজ করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম একটি কাজ বেছে নিতে হবে এরপর আপনি এমন একটি কাজ বাজবেন যেটির আপনি অন্যদের থেকে বেশি দক্ষ। আপনি যখন এরকম কাজ খুঁজে না পান তখন আপনাকে নিজে আগ্রহী অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট কাজ শিখে নিতে হবে। এই কাজটি আপনি ওনাদের জন্য করতে পারবেন আপনি ভালোভাবে শেখার জন্য আপনি কোন কলেজ থেকে ডিগ্রী নিতে পারেন বা বই পড়তে পারেন।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো আউটসোর্সিং জবের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে।

এরপর আপনি যে কাজগুলো দক্ষ সেই কাজগুলো ওই ওয়েবসাইটের মধ্যে তালিকাভুক্ত করে রাখতে হবে।

এরপর অপেক্ষা করতে হবে যদি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কোন কোম্পানি আপনাকে পছন্দ করে তাহলে সে কোম্পানি আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং আপনার সাথে তাদের কাজটি আউটসোর্সিং হিসেবে কাজ করাবে।

সর্বশেষ কথাঃ আউটসোর্সিং আয় কি?

আউটসোর্সিং এর বিভিন্ন ধাপে ধাপে কাজ করে তা থেকে আয় করা যায়। তাই আউটসোর্সিং কাজ যে অনেক কঠিন হলেও এটা নিয়মিত চর্চা এবং দক্ষ হতে হবে। একজন দক্ষতার ফলে আউটসোর্সিং এ থেকে আয় করতে পারে

আজকে আপনাদের আউটসোর্সিং এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি যেগুলো জেনে আপনার কিছুটা হলেও উপকৃত হবে আউটসোর্সিং কি এবং আউটসোর্সিং কিভাবে শুরু করবেন আউটসোর্সিং এর ওয়েবসাইট গুলো কি কি তা জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।