Sikho : ডিজিটাল প্লাটফর্মে শিখো অ্যাপস।

বন্ধুরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে স্কুল কলেজে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলেছে।আর এই শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধির ফলে পড়াশোনার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে মাইলের পর মাইল পাড়ি দিতে হবে।সামাজিক মাধ্যমে শত শত কনটেন্টের ভিড়ে প্রায় আমাদের সামনে কিছু বিজ্ঞাপন চলে আসে পড়াশোনার সময়।


তাই অনেক সময় আমরা সেগুলো এড়িয়ে গেলেও কিছু জিনিস মাঝেমধ্যে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে ফেলে। তাই ব্রাজিল করছে হঠাৎ এই এমন একটি বিজ্ঞাপন সামনে চলে আসলে বিজ্ঞাপনের মূল্য অনুযায়ী দেখতে না চাইলে ও দেখতে হয়।

সেজন্য শহরে কোলাহলে আবার কখনো নদীর মাঝখানে নৌকা আর গ্রামের মেঠো পথে গাছের ছায়াতলে বসে শিক্ষার্থীরা মোবাইল থেকে খুব সহজে একটি নোট করে পড়ে নিতে পারছে। আর এক সময় দেশের সব প্রান্তে শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এই শিক্ষা বা পড়াশোনা।

বর্তমানে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষা ভালো ফলাফল করতে প্রাইভেট টিউটর ও কোচিং এবং বইয়ের গাইড বইয়ের যৌন শিক্ষার্থীদের জীবন এক রকম বিষন্ন হয়েছে। এসব থেকে মুক্তির দিতেই আমি শিখব আমি জিতব ক্যাম্পেন নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলাদেশ এডটেক স্টার্আপ শিখো।

বর্তমান সময়ে খাতিমান অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে এবার সবাই শিখবে সবাই জিতবে। হঠাৎ একজন শহরে স্কুলের স্বচ্ছ ল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে যেসব লেকচার অনুসরণ করে সেই পরীক্ষা ভালো করতে পারে তেমনি গ্রামের প্রান্তিক শিক্ষার্থীরাও স্বল্প খরচে এই অ্যাপের মাধ্যমে সেই শুভ সুযোগ একই পাচ্ছে সেভাবে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমাদের সকলের কমবেশি বিচরণ রয়েছে তাই স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবণতার দিনকে দিন আরো বেড়ে চলেছে। ইন্টারনেট এর যুগে সমৃদ্ধি এই যুগে পড়াশোনার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে কেনো মাইলের পর মাইল পাড়ি দিতে হবে।এর জন্য এই সমস্যার সমাধানে ও বাংলাদেশের প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের কম টাকা মানসম্মত শিক্ষা পড়ছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে এই শিখো অ্যাপস যাত্রা শুরু করে যা শিক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হল শিখো।

শিখো অ্যাপস এর প্রতিষ্ঠাতা কে?

করোনা মহামারী বিশ্বজুড়ে দূরদ শিক্ষণ সুবিধা চাহিদা বেড়েছে এর ফলে দুই তরুণের হাত ধরে এই শিখো অ্যাপস স্টার্ট আপ এ বর্তমানে বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৪০০ জন।

শিক্ষা অ্যাপস শাহীর চৌধুরী ও জিসান জাকারিয়া প্রতিষ্ঠাতা। মাত্র তিন বছরে যাত্রায় শিখো অ্যাপস হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে সবচেয়ে দ্রুতগতির একটি শিক্ষা বিষয়ক অ্যাপস। তা এনটেক স্টার্ট আপ।

শিখর ব্যান্ড ও কমিউনিকেশন প্রধান জিসান আহমেদ জানান শিখো কে দাঁড় এর করুণার পেছনে আমাদের টিমের সদস্যদের আক্রান্ত পরিশ্রম ও মেধা জড়িয়ে রয়েছে।এক এক জন সদস্য নিজেদের পেশাগত জীবনের ইতি টেনে অনিশ্চিত এই যাত্রায় সঙ্গী হয়েছেন।

লিডারশিপ টিমের যারা দায়িত্ব রত রয়েছেন তারা সকলে নিজ নিজ সেক্টরে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ। প্রত্যেকেরই প্রায় নিজস্ব ফিল্ড ১০ থেকে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে এই শিখো অ্যাপসের যারা কাজ করছে।

জাতীয় পাঠ্যক্রমের মানসম্মত ও সহজ সরল করে তুলে ধরতে দেশে প্রথম ভিজুয়াল অ্যানিমেশন ভিডিও কনটেন্ট শিখোর হাত ধরেই শুরু হয়েছে। কোয়ালিটি এডুকেশন দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীরায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে শিখো বধ্য পরিকর।

শিখো অ্যাপস পড়াশোনা হবে মজা করে?

সকল শিক্ষার্থীর যেমন সমান সুযোগ পাই না তেমনি সকলের বোঝার সক্ষমতা ও সমান হয় না। তাই পাঠ্যক্রম বা সিলেবাস কে কিভাবে সহজে বৌদ্ধমুক্ত করে শিক্ষার্থীদের সামনে হাজির করা থেকে শুরু করে সে চিন্তা ভিজুয়াল আল্টিমিটার ভিডিওর মাধ্যমে বোঝানো হয়। যেমন, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান এর মত জটিল জটিল সব সূত্র ও ব্যাখ্যা সমূহ।


প্রথমদিকে সাধন গণিতের উপর একটিমাত্র কোর্স করছিল শিখোতে। সকল পরীক্ষামূলক এই কোর্সের মিলেমিশে ভালো ছাড়া পাওয়া গেছে তাই শিক্ষার্থীদের দুর্বলতার উপর ভিত্তি করে ধীরে ধীরে যোগ হয় সকল বিষয়ভিত্তিক কোর্স ও অনলাইনে লাইভ ক্লাস।

শিখো এর জুম বা গুগল মিট এর মত সকল প্লাটফর্ম গুলোর ব্যবহার করে লাইভ ক্লাস নেওয়া না। এর জন্য তাদের রয়েছে নিজস্ব প্লাটফর্ম শিখো ওয়েব পোর্টাল শিখো অ্যাপস। প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকদের সাথে একজন করে সহকারী শিক্ষক থাকেন। যিনি লাইভ ক্লাস চলাকালীন টেকনোলজি বিষয়ে ত্রুটি ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাব দেন। প্রেশার ও ক্লাসের নির্দিষ্ট সময় এরপর এক্সট্রা কনসাল্টেশন সুযোগ রয়েছে।

জিসান আহমেদ শিখর কার্যক্রম নিয়ে আলাপচারিতায় বলেন, অনেক সময় ক্লাসে শিক্ষার্থীরা মনোযোগী থাকে না। তাই আবার সবাই একই রকম ভাবে বুঝতে পারে না সেজন্য কোন শিক্ষার্থী পড়া বুঝতে সমস্যা হলে তারা ক্লাসের পর পরি আমাদের সহকারী শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সপ্তাহের চার দিন শিক্ষার্থীদের জন্য এক্সট্রা ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে, এর জন্য শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হয় না।

দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করে শিখ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদান করে থাকে। একটি অনলাইন লাইভ কোচিং ক্লাস অন্যটি আনলিমিটেড ভিডিও কনটেন্ট। আনলিমিটেড ভিডিও লেসন গুলো শিক্ষার্থীদের আনন্দ দিয়ে পড়া বোঝানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রেখে কঠিন পাঠ্যক্রমকে সহজ ভাবে উপস্থাপন করা যায়।

গত বছর নভেম্বর থেকে শিক্ষক লাইভ ক্লাস কোর্স শুরু করা হয়।এ লাইভ ক্লাস চলাকালীন যে সব রেকর্ড করা হয় এবং পরবর্তীতে ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেয়া হয় তাই নির্দিষ্ট সময়ে কোন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকতে না পারলেও যেকোনো সময় ক্লাস গুলো দেখে নিতে পারেন।

শিখোর আলোকিত শিক্ষায় শিক্ষার্থী।

জাতীয় শিক্ষাক্রম নিয়ে শিখোর অনেকগুলো কোর্স হয়েছে। এই কোর্সগুলো যাবতীয় দেখাশোনা শিখোর সহ প্রতিষ্ঠাতা জিশান জাকারিয়া দায়িত্ব রয়েছে। বর্তমানে সপ্তাম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল বিষয়ভিত্তিক পাঠক্রম অন্তর্ভুক্ত করা রয়েছে।

এই শিখো সকল ক্লাসের জন্য কোর্স তৈরির কাজ চলছে। সকল সদস্য নিয়ে নলেজেবল টিম নামের শিখোর আলাদা একটি পড়েছে। এটি ভাই সদস্যদের কাজ হচ্ছে জাতীয় পাঠ্যক্রমকে সহজিকরণে নানাবিধির পদ্ধতি উদ্ভাবন করা।সকল সিলেবাস পর্যালোচনার মাধ্যমে ভোট পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিকে সহজ করে তুলতে এ টিম কাজ করে।

এন্ড্রোয়েড শিখো অ্যাপস

শিখতে একাডেমী কোর্সের পাশাপাশি রয়েছে শিখো স্কেল প্রোগ্রাম যেখানে মূল্য তো একাডেমিক ও প্রফেশনাল জীবনের জন্য দরকার বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কোর্সগুলো সাজানো হয়েছে। এম এস ওয়ার্ড এক্সেল পাওয়ারপয়েন্ট google ওয়ার্ক স্পেস ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্ট চাকরির প্রস্তুতি জেআরই প্রস্তুতি গ্রাফিক্স ডিজাইন ইমেল রাইটিং সহ দরকারি বিভিন্ন দক্ষতার ডেভেলপের কোর্স রয়েছে।

সম্প্রতি আলোকিত শিক্ষক নামে নতুন আরো একটি কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিখো।শিক্ষকতা পেশার আগ্রহী ও নিয়োজিত ব্যক্তিরা এখান থেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের আরো একধাপ এগিয়ে নিতে যেতে পারবেন। এছাড়াও শিক্ষক হিসেবে শিখোতে নিযুক্ত হওয়ার পূর্বে সবাইকে বিশেষ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়,যেন তারা শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রেখে সঠিকভাবে জ্ঞান দান পাঠ্য দান করতে পারেন।

এছাড়া শিখো কত বছর দেশে অন্যতম জনপ্রিয় দক্ষতা development status বহুব্রীহিকে অধিগ্রহণ করেন। যেখানে বর্তমান সময়ের জন্য খুবই দরকারি বিভিন্ন স্কেল ডেভেলপমেন্ট করার সুযোগ রয়েছে।স্পেশাল ক্যারিয়ার ট্রাক নামের একটি কোর্স রয়েছে এখানে ক্যারিয়ার ট্রাক নামে আওতায় বিভিন্ন কোর্স রয়েছে যা একজন শিক্ষার্থীকে সরাসরি দক্ষতা অর্জন করে ক্যারিয়ার করার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে পারে। অন্যান্য করছে তুলনায় এ করছে ফ্রি কিছুটা বেশি তার কারণ রয়েছে।

কমিউনিকেশন হেড জিশান আহমেদের মতে, আমাদের এই কোর্স করার পর কেউ বলতে পারবে না যে তিনি পেশাগত জীবনে উপকৃত হননি।ক্যারিয়ার টেক কথাটি শুনে বোঝা যাচ্ছে এখানে ক্যারিয়ার বিষয়ক যাবতীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ডিজিটাল মার্কেটিং ফিনান্সিং ব্যবসা ও অন্যান্য যাবতীয় বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ শিক্ষা দেয়া হয়। ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট প্রফেশনাল ব্যক্তিরা এখানে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।

শিখো অ্যাপ্লিকেশনে ক্লাসে শিক্ষক কে।

ক্লাসের শিক্ষক কি পড়াচ্ছেন সেদিকে মনোযোগ করার চেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চোখ থাকে কোন নোট টুকতে হবে। এটি করাতে গিয়ে অনেকে পড়ানো বিষয়ে সম্পর্কে স্পষ্ট বুঝতে পারে না। এই কাজটি আমরা সকলে ছোটবেলায় শিক্ষার্থী অবস্থায় করেছি।

এই সমস্যা সমাধানটা পাওয়া যাবে শিখোতে।প্রতিটি লেকচারের মূল পয়েন্টগুলো নিচে উল্লেখ করে দেওয়া থাকে যেটাকে বলা হয় স্মার্ট নোট। তাই শিক্ষার্থীকে আরো মনোযোগ দিয়ে তা বিঘ্ন ঘটিয়ে নোট করার ব্যস্ত থাকতে হবে না। প্রতিটি ক্লাস শেষে লেকচারের সাথে পেয়ে যাবে ক্লাস নোটস।

এশার ও ক্লাসের মধ্যে বর্ণ বিষয় থেকে তাৎক্ষণিক কুইজ টেস্ট নেওয়া হয়। খুস ট্রাস্টের উপরে ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে কতটা মনোযোগী ছিল প্রয়োজনের ভিত্তিতে পুনরায় একই লেকচার দেওয়া হয়ে থাকে। শিখোর আলাদা একটি টিম রয়েছে, অ্যাপস ও ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করার জন্য।

শিখো অ্যাপসে কোর্স ফি কত?

শিক্ষক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী কোন বিষয়ে দুর্বল শিক্ষার্থীদের বাড়তি সেবা দেওয়া হয়, এছাড়া প্রতিটি কোর্সে ভর্তির পূর্বে সকল শিক্ষার্থীর কিছু ফি ট্রায়াল ক্লাসের সুযোগ পান।

মোবাইল ফোনে শিখো অ্যাপ ইন্সটল করে রেজিস্ট্রেশন করার পর যাবতীয় তথ্য ও কোর্স ফি সম্পর্কে জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে ১১ লাখ শিক্ষার্থী অ্যাপসটি ইনস্টল করেছে, আরো কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর শিখোর বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হয়েছে।

জিশান আমাদের আরো জানান, শিখোতে ভর্তি হওয়ার শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ বিভিন্ন জেলা ও প্রান্তিক অঞ্চলের। শহরে অবস্থিত স্কুলগুলো শিক্ষার্থীরা মোটামুটি আর্থিকভাবে সচ্ছল ও তা ভালো মানের হিসাবে থাকে তাই একজন গ্রাম বা মফস্বলের শিক্ষার্থীর জন্য চিত্রটা বিভিন্ন হয়ে থাকে।

এই শিক্ষার্থীরা এককালীন ফ্রি দিয়ে শিক্ষক কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে পারেন। এভাবে এক বন্ধু থেকে অন্য বন্ধুরা জানতে পেরে তারাও শিখোর সাথে যুক্ত হয়।

জিশান আরো বলেন যে,বর্তমান সময়ে প্রান্তিক এলাকায় বসবাস করা বাবা মায়েরা নিজেদের সন্তানদের শিক্ষার ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠেছে। সেজন্য ছেলেমেয়েদের ভালো মানের শিক্ষা ব্যবস্থা করে দিতে তারা শিখোকে বেছে নিচ্ছে। অনলাইনে পড়াশোনার এ প্রচলন ও ধারণা মানুষের মাঝে আরো প্রবল হয়েছে কর্নকালীন সময়ে।

শিখো অ্যাপস প্রথম পথ চলার গল্প

শিখো অ্যাপস প্রথম শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একটি লক্ষ্য কাজ করে যাচ্ছে তা হল দেশের সকল প্রান্তিক বা সকল শিক্ষার্থীর মাঝে মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া।এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে শিক্ষার্থীর বান্ধব করে তোলা পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যক্রমকে সহজ ভাবে তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য।

এডটেক স্কার্টআপ শিখোর পথ চলা প্রথম ধাপ টা এসেছিল। শাহীর চৌধুরী দীর্ঘ বারো বছর ব্যাংকার পেশা জীবনের ইতি টানেন। তার চিন্তা ছিল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন করার। কিন্তু শিক্ষকতা বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ধারণা না থাকায় তিনি পূর্ব পরিচিত বন্ধু জিশান জাকারিয়া সাথে যোগাযোগ করলেন।

জিশান জাকারিয়া শুরু থেকে শিক্ষাগত বিষয়ে শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতা তার আগ্রহ এত বেশি ছিল যে তিনি ইকোনমিক্স ও ফাইন্যান্স থেকে গ্রাজুয়েট হয়েও পড়াশোনা পেছনের ধরে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে এডুকেশনের ওপর আরেকটি মাস্টার্স সম্পূর্ণ করেন।

জিশান লন্ডনের দীর্ঘদিন শিক্ষকতা ও করেছেন, তাই এতদিন থেকে তার অভিজ্ঞতার পরিবেশ পরিপূর্ণ। এবার পালা নিজের দেশে ফিরে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এর কাজ করা। এরপর একটি একটি করে কাঠামোতে সামনে রেখে দুই বন্ধু মিলে দাঁড় করাতে শুরু করলেন তাদের স্বপ্নের স্টার্টআপ শিখো।

শিখর সহ প্রতিষ্ঠাতার জিসান জাকেরা শৈশবের স্মৃতি তাকে শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ে কাজ করাতে আরো উপলব্ধি করে। তার বাবা ছিলেন একজন আর্মি অফিসার কিন্তু বেতনের যত সময় টাকা সংসার চালিয়ে ছেলের পড়াশুনা খরচ মেটাতে রিমঝিম খেতে হতো তার বাবাকে।

ছেলেদের পাইভেট কোচিং এর টাকা জোগাড় করতে দিনে স্থাবর সম্পত্তি এখন সব বিক্রি করে দেন। সেখান থেকে জিসান জাকারিয়া মাথায় সব সময় কাজ করতো বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থা একজন শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়।

কিভাবে কম খরচে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা পেতে পারে সেই পরিকল্পনা থেকেই অনলাইনে যাবতীয় কোর্সকেলের সাজাতে থাকেন শিখো Shikho টিম।

শুরু দিকে মাত্র একটি রুম নিয়ে কাজ চলাতো শিখর যাবতীয় কার্যক্রম, বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের দুটি অফিস স্পেস রয়েছে। শিখো  র গুলশান অফিসে চলে শিক্ষামূলক যাবতীয় কার্যক্রম। এবং বনানীর আরেকটি অফিসে শুধুমাত্র কর্পোরেট ও ম্যানেজমেন্ট কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়।

শিখতে প্রায় ৪০০ জন সদস্যের শিখোতে টেকনোলজি, ব্র্যান্ড মার্কেটিং, কাস্টমার, এক্সপেরিয়েন্স টিম, অপারেশন টিম নামক ৯ টি আলাদা আলাদা টিম হয়ে নিজ নিজ দায়িত্বে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানতাদের প্রযুক্তি উন্নয়ন সম্প্রীতি শিখো সিঙ্গাপুর ভিত্তিক অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান, ওয়েব মেকার পার্টনারস ও সাথে বৈশ্বিক বিষয়ে উপর বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে।

গত বছরে আগস্ট মাসে প্রথম ভাবে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৩ লাখ ডলার বিনিয়োগ  পায় শিখো। এই নিয়ে দুই ধাপে মোট ৪৫ কোটি টাকা বাংলাদেশে অর্থ মূল্যায়নী ও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের শিক্ষা প্রযুক্তি বিষয়ক স্টার্টআপ এর মত এটি ছিল সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক।

সর্বশেষ কথাঃ শিখো অ্যাপস ডিজিটাল পড়াশোনা।

শিখো অ্যাপস প্রথম শুরু থেকে থেকে এখন পর্যন্ত অনেক জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। এই শিখো অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই লেখাপড়া করতে পারবেন।লিখো অ্যাপ্লিকেশন সর্বোচ্চ আপগ্রেড করার হয় দিনের পর দিন।তাই এই শিখো অ্যাপস আবিস্কার করেন প্রথম দুই জন তারা হলেন জিশান জাকারিয়া ও শাহীর চৌধুরী।

আরো পোস্ট দেখুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url