E-passport : ই-পাসপোর্ট কত প্রকার?-easykhobor

ঈদের মেহেদি ডিজাইন

ই পাসপোর্ট কি- বন্ধুরা আপনারা যারা বিদেশ ভ্রমন ও মেডিকেল টিটমেন্ট এর জন্য বা শ্রমিক হিসেবে যেতে চান তাদের জন্য ই পাসপোর্ট করতে চাইলে অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন। সেজন্য ই পাসপোর্ট কি? বা ই পাসপোর্ট কত প্রকার তা আপনারা সবাই জানেন না।

সূচিপত্রঃ E-passport

  • ই পাসপোর্ট কি?
  • বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কত ধরনের নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।
  • ই-পাসপোর্ট কত প্রকার?
  • বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট কবে চালু হবে?

চলুন জেনে নেওয়া যাক, ই পাসপোর্ট করার নিয়ম,ই পাসপোর্ট করতে চাইলে কোন পাসপোর্ট করলে কি সুবিধা পাবেন আপনি ই পাসপোর্ট করে। ই পাসপোর্ট ১১৯ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্থান দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এটাই প্রথম ই পাসপোর্ট করা দেশ।

ই পাসপোর্ট কি?

E-passport কে সাধারণত ডিজিটাল পাসপোর্ট বা ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট বলা হয়। অর্থাৎ, পাসপোর্টের আধুনিক ভার্সনকে ই-পাসপোর্ট বলা হয়। কিন্তু সাধারণ ভাবে পাসপোর্ট ও ই-পাসপোর্ট এর মধ্যে তেমন কোনো ভিন্নতা নেই। তবে বর্তমানে এমআরপি বা যন্ত্রিক পাঠযোগ্য পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্টের বইও একই রকম থাকবে।

বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কত ধরনের নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করা হয়েছে

ই-পাসপোর্টে প্রযুক্তিগত ভাবে কিছু ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। যেমন- পাসপোর্টের বইয়ের প্রথমে যে তথ্য সংবলিত দুইটি পাতা থাকে, ই-পাসপোর্টে তা নেই। সেখানে বরং পালিমানের তৈরি একটি কার্ড ও অ্যান্টেনা যুক্ত করা হয়েছে। সেই কার্ডের ভেতরে চিপ থাকবে, যেখানে পাসপোর্ট ব্যবহারকারীর সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।

আরো পড়ুনঃ ই পাসপোর্ট করার নিয়ম।

ন্যাশানাল ভোটার আইডি কার্ডের যে স্মার্টকার্ডটি দেওয়া হয়, সেটিতে যেমন চিপ থাকে, পাসপোর্টেও তাই করা হয়েছে। সেই চিপে একটি ইলেক্ট্রনিক ডেটাবেজ যুক্ত রয়েছে, সেই ডেটাবেজে পাসপোর্ট বাহকের তিন ধরণের ছবি, দুই হাতের আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ থাকবে।

ই-পাসপোর্ট অবস্থান কত তম বাংলাদেশে এর ফলে পাসপোর্টধারী যে কোনো দেশেই ভ্রমণ করতে যাক, সে দেশের কর্তৃপক্ষ খুব সহজেই পাসপোর্টের মাধ্যমে বাহক সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারবে। সারাবিশ্বে এই পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে ১১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান। অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু করেছে।

ই-পাসপোর্ট কত প্রকার?

বাংলাদেশের সরকার তিন ধরণের পাসপোর্ট ইস্যু করে থাকে যেমনঃ

  1. সাধারণ পাসপোর্ট- সবুজ পাসপোর্ট
  2. দাপ্তরিক পাসপোর্ট- নীল পাসপোর্ট
  3. কূটনৈতিক পাসপোর্ট- লাল পাসপোর্ট

১. সাধারণ পাসপোর্ট কি? সবুজ পাসপোর্ট কি?

সবুজ পাসপোর্টকে বলা হয় সাধারণ পাসপোর্ট বা অর্ডিনারি পাসপোর্ট। এই পাসপোর্টটি দেশের সকল সাধারণ নাগরিকের জন্য ইস্যু করা হয়। যারা জন্মসূত্রে এবং বৈবাহিক উভয় সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক, তাদের জন্যই এই সবুজ পাসপোর্ট। এই পাসপোর্টটি দিয়ে বিদেশে গমনের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা থাকতে হবে।

২. দাপ্তরিক পাসপোর্ট কি? নীল পাসপোর্ট কি?

নীল রঙের পাসপোর্টকে বলা হয় দাপ্তরিক পাসপোর্ট, সরকারি পাসপোর্ট, অফিসিয়াল পাসপোর্ট। গভর্নমেন্টের কাজে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি বিদেশে ভ্রমণ করে তবে এই নীল পাসপোর্টটি ব্যবহার করা হয়।

এই পাসপোর্টটি সাধারণ পাসপোর্ট থেকে অনেক শক্তিশালী। এটি দিয়ে বিনাভিসায় সারাবিশ্বের অন্তত ২৭টি দেশে পাসপোর্টধারী ভ্রমণ করতে পারবে। এ পাসপোর্টটি করতে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসের অনুমোদন (জিও) প্রয়োজন হবে।

৩. কূটনৈতিক পাসপোর্ট কি? লাল পাসপোর্ট কি?

লাল রঙের পাসপোর্টকে বলা হয় কূটনৈতিক পাসপোর্ট বা ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট শুধুমাত্র দেশের উচ্চ কর্মকর্তাগণই পেয়ে থাকেন। যেমন- রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য এবং তাদের স্বামী\স্ত্রী।

তাছাড়া, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিদেশে বাংলাদেশি মিশনের কর্মকর্তাগণ এই লাল পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন।

লাল পাসপোর্টধারী বিনাভিসায় যে কোনো দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। কেননা, তারা সংশ্লিষ্ট দেশে অবতরণের পর সরকরি ভাবে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পান।

সর্বশেষ কথাঃ বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট কবে চালু হবে

বর্তমান সরকারের আমলে ই পাসপোর্ট কি বা কত প্রকার ই পাসপোর্ট আবেদন করা যাবে এবং সবুজ পাসপোর্ট, নীল পাসপোর্ট, লাল পাসপোর্ট, দিয়ে বিদেশে যাওয়ার সময় বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট কবে চালু হয়েছে আজকে সেটি বলতে পারি তেমনি আপনার ই পাসপোর্ট ব্যবহার করা সহজ হবে সবার।

আরো পোস্ট দেখুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url