মহরম কবে। ১০শে মহরম ইতিহাস-easykhobor

শবে বরাতের নামাজ নিয়ম কত রাকাত?

আসসালামু আলাইকুম। সম্মানিত ইসলামের দ্বীনি ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আল্লাহর রহমতে আশা করি ভাল আছেন। আজকের আর্টিকেলটি ১০শে মহরম ইতিহাস বা মহরম মাস নিয়ে আলোচনা করব। এ ১০শে মহরম বা আশুরার দিনে যা যা ঘটেছিল তা বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব আপনাদের কাছে। আশুরার দিনে যা যা ঘটেছিল তা ১০শে মহরম হিসেবে আমরা ধরে থাকি।

সূচিপত্রঃ আশুরা ও মহরম

  • মহরম এর অর্থ কি?
  • মহরম কবে ২০২৩
  • মহরম কেন পালন করা হয়
  • ১০শে মহরম ইতিহাস
  • ১০শে মহরম
  • আশুরা বা মহরম

আপনাদের নিকট সুস্পষ্ট ভাবে কারবালার ইতিহাসের সাথে আশুরার রোজার কোন সম্পর্ক নেই কিন্তু ঘটনাচক্রের হুসাইন রা এর শাহাদাতের পর মর্মান্তিক ঘটনা ১০শে মহরম ইতিহাস ঘটেছিল হোসাইন এর কারবালা প্রান্তে শাহাদাতের ইতিহাস ইসলামে তাওহিদি পতাকা যখন আল্লাহর জমিনে পতিত করে।

মহরম এর অর্থ কি?

মহরম শব্দটি আরবি যার অর্থ পবিত্র, সম্মানিত। প্রাচীনকাল থেকে মহরম মাস পবিত্র হিসাবে গণ্য। মহরমের ১০ তারিখ বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন দিন, যাকে আশুরা বলা হয়ে থাকে। বিশেষ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষি এই মাসটি।

মহরম কবে ২০২৩

আশুরা বা ১০শে মহরম মাসের ১০ তারিখ ইংরেজি বছরের ২৭ জুলাই ২০২৩ রোজ বৃহঃবার এই দিনটি পালিত হবে ১০শে মহরম।

আরো পড়ুনঃ ২০২৩ সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশ

মহরম কেন পালন করা হয়

এটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত দুঃখের দিন। এদিন কারবালায় নবি মহম্মদের নাতি হুসেনের হত্যা হয়। তাঁর জন্য এদিন শোক পালন করেন মুসলমানরা । সেদিনের বিষাদময় ঘটনা স্মরণ করে পালন করা হয় মহরম। ১০শে মহরম হল ইসলামিক নববর্ষের প্রথম মাস, যাকে আল হিজরি বা আরবি নববর্ষও বলা হয়। এই পবিত্র মাসেই নবি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছিলেন। মাসের দশম দিন আশুরা নামে পরিচিত। ১০শে মহরমের দিন, সেদিন কারবালায় নবীর নাতি হুসেন ইবনে আলির শাহাদাতের মৃত্যু হয়।

১০শে মহরম ইতিহাস

পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে উঠতে শুরু করল তখন ইসলাম ও মুসলিমদের চিরশত্রু ইহুদি খ্রিস্টানরা বসে থাকে না। ১০শে মহরম ইসলাম ও মুসলিম জাতির ধ্বংসের জন্য বিভিন্ন প্রকার চক্রান্ত ও পলিসি হাতে গ্রহণ করা আরম্ভ করতে থাকে। এর মাধ্যমে অধিবাসী মুনাফিকের আব্দুল্লাহ ইবনে সাবার ইসলামী পোশাক ধারণ করা ছিল সবচাইতে মারাত্মক।

সে একজন ইহুদী সন্তান ছিল। তাই এই মোনাফিকের মুসলিম রুপে আবির্ভাব হওয়ার পরে ইসলামের মূল শেখর কাটার জন্য সর্বপ্রথম পরিকল্পনা ছিল। উসমান ইবনে আফফান (রা)কে হত্যা করা হয়।তাই খলিফার বিরুদ্ধে মিথ্যা কিছু অপবাদ দিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা এবং কোরআন তেলাওয়াতের করার অবস্থায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মাত্র ১৪ জন কচক্রী সবাই দল তৃতীয় খলিফা যুননূরাইনকে হত্যা ছিল হিজরির ৩৫ সালে।

আরো পড়ুনঃ কোরবানির ঈদ কত তারিখে

তিনি এ হত্যাকে নিজেই মেনে নিয়েছিলেন যে এ বলে যে আমার কারনে মুসলমানদের মাঝে যেন রক্তপাত খুনাকুনি না ঘটে।তিনি এও বিদ্রোহের প্রতিবাদকারীদেরকে রক্ত প্রবাহিত হবে বলে সবাইকে চলে যেতে বলেন। তারে শাহাদতের দ্বারা ফেরেশতা দরজা উন্মুক্ত হয়।

এবং মুসলমানদের ঐক্যের মাঝে ফাটল ধরতে থাকে। এরপর সবাই ঐক্য মতে খলিফা নির্বাচন হলে আলী ইবনে আবি তালিব রা কুচক্রী দল আলী (রা) এর অন্য দলের কৌশলে প্রবেশ করেন এবং তাদের দলে দলে কোন কুছালো চালাইতে থাকেন। এদিকে মু’আবিয়া (রা) তখন সিরিয়ার গভর্নর নিযুক্ত ছিলেন।

তার বংশের খলিফা উসমান (রা) এর হত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের বিচার করার জন্য আলী (রা) এর প্রতি জোরালো চাপ সৃষ্টি করেন।তবে তিনি আলী (রা) এর খেলাফতে বা তাকে অস্বীকার এবং খলিফার বিরুদ্ধে কোন প্রকার বিদ্রোহ করেননি।

মু’আবিয়া (রা) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আপনি কি আলী রা এর খেলাফতের ব্যাপারে বিরোধিতা করছেন। আপনি কি তার অনুরূপ উত্তরে মু’আবিয়া (রা) বলেন আমি অবশ্যই জানি আলী আমার চাইতে উত্তম এবং খেলাফতের বেশি হকদার। কিন্তু তোমরা কি জানো না ওসমানকে মজলুম অবস্থায় হত্যা করা হয়েছে।

আর আমি তার চাচার ছেলে আমি তো শুধুমাত্র তার মনের বদলা চাইনি। সন্দে একজন আত্মীয় হিসেবে মহাবিয়া ওসমান এর খুনিদের বিচার দাবি করার অধিকার ছিল কিন্তু আলী একজন বড় মাপে রাজনীতিবিদ ও বিচক্ষণ ব্যাক্তি ছিলেন তাই তিনি বলেন রাষ্ট্রের অবস্থা বর্তমান নাজুক।এ পরিস্থিতিতে খুনিদের বিচার কার্য বাস্তবায়ন করা কঠিন।

প্রথমে রাজ্যে বেসৃঙ্খলা ও ফেতনা আয়ত্তে আনতে হবে তারপর বিচার করা হবে। অন্যদিকে পরিস্থিতির শান্ত করার উদ্দেশ্যে কিছু সাহাবীগণের পরামর্শ মা আয়েশা (রা) মক্কা হতে বসরার দিকে রওনা হন। কিন্তু এ অবস্থায় বড় কঠিন দেখে তিনি অবাক হয়ে পড়েন পথে আলী এর সাথে আলোচনার পর তিনি মদিনায় ফিরে যাওয়ার সংকল্প করেন।

কিন্তু এই  কুচক্রীদলটি রাতের অন্ধকারে অতর্কিতভাবে মা আয়েশার এর সঙ্গীদের উপর হামলা চালায়। এর ফলে ও মানুষের প্রাণ অনেক ঘটে এবং ওইদিকে মু আবিয়া রা তার সঙ্গে তার মতের উপরে অনর থাকেন। অন্যদিকে আলী মু’আবিয়া (রা)কে বাধ্য করার জন্য মদিনা থেকে বের হন। সিরিয়াল সিফফীন নামক স্থানে পৌঁছালে সেখানে দুই দলে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

১০শে মহরম

সর্বশেষ এই দুই দলের মাঝে সন্ধি দ্বারা সমস্যার সমাধান হয়। এই সন্ধিকে কেন্দ্র করে আলী এর দলের লোকেরা দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একটি শিয়া তথা নিজের দল আর অপরটি খারেজি তথা বিদ্রোহী দল। আর এটাই ছিল ইসলামের সর্বপ্রথম দলাদলি সূচনা। এই ইহুদি মোনাফেক দলটি গোপনে গোপনে ইসলামের বিদ্বেষ আরো শক্তিশালী করার জন্য গোপনে ষড়যন্ত্রে আটে।

তারা তিনজন মানুষকে নিযুক্ত করে তিনজনকে হত্যা করে এবং খারিজী আব্দুর রহমান ইবনে মুলজেমকে আলী আলী কে হত্যা করার জন্য এবং অপর দুজনের মু’আবিয়া (রা) ও অমর ইবনে আস কেও তো করার জন্য, কিন্তু ইবনে মুলজেম আলীকে হত্যা করতে সক্ষম হলেও অতঃপর দুজন ব্যর্থ হয়। যা ছিল ৪০ হিজরির ঘটনা। এই দলটি এই হত্যার দায়ভার চাপিয়ে মু’আবিয়া (রা) এর উপরে। যেহেতু দুজনের মাঝে রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিল  বিদ্যমান।

তবে বাহ্যিকভাবে সাধারণ মানুষরা ধোঁকায় পড়ে গেলে আলী (রা) এরা হত্যার পর খেলাফতে দায়িত্ব নিলেন তার বড় ছেলে হাসান (রা)। তিনি মাত্র ছয় মাস খেলা ফতের পথে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি মুসলমানদের দুটি দলের মধ্যে বিভক্ত করে তার নিজের মধ্যে ফেতনা-ফাসাদের জন্য নিজ এবং ছোট ভাই হুসাইন (রা)কে সঙ্গে করে মু আবিয়া (রা)এর নিকট গেলে তার হাতে বায়েত গ্রহণ করেন।

এটাই ছিল হযরত মুহাম্মদ সা এর ভবিষ্যৎ বাণী বাস্তবায়নকারী কারণ নবী রা বলেন নিশ্চয়ই আমরা এই সন্তান সাঈদ ভাই সরদার। আল্লাহতালা তার দ্বারা মুসলমানদের বিরাট দুটি দলের মধ্যে আপোষ করে দিবেন। এরপর পরিস্থিতির স্বাভাবিকভাবেই চলে থাকে।

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মু’আবিয়া (রা) দক্ষতার সহিত রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তিনি মু’আবিয়া (রা) হিসান হুসাইন রা কে সম্মান করতেন প্রতি বছর তারা মুআবিয়া রা এর নিকট যেতেন এবং তিনি তাদেরকে এক লক্ষ করে দিলাম দিতেন আর একবার চার লক্ষ দিরহাম পুরস্কার দেন তাদের।

হাসান এর মৃত্যুর পর হোসাইন রা মু’আবিয়া (রা) এর নিকট যেতেন এবং তিনি তাঁকে আসলে বাইতের যথাযথ সম্মান ও মহব্বত করতেন। হিজরি ৫০ সালে মাদীনাতুল কায়সার শহরে অর্থাৎ রোম সম্রাটের শহর ইস্তাম্বুল বলে। বোঝার জন্য সৈন্যদল পাঠানোর সময় মু’আবিয়া (রা) হুসেইন কে ডেকে পাঠালেন তিনি তাতে শরিক হন আর সেই সেনা দলের সেনাপতি হিসেবে ছিলেন মু’আবিয়া (রা)এর ছেলে এজিদ রহ ।

সর্বশেষ কথাঃআশুরা বা মহরম

রাসুলুল্লাহ রা এ যুদ্ধ সম্পর্কে সুসংবাদ দিয়ে বলেন, আমার উম্মতের য়ে প্রথম সৈন্য দলটির কাউসার শহরে ইস্তাম্বুল যুদ্ধ করবে তারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে। নিঃসন্দেহে এ হাদীসটি হাদিসটি এজিদ ইবনে মু’আবিয়া (রা) সম্পর্কে যারা মিথ্যা অপচর করে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত দলিল।

আরো পোস্ট দেখুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url