কীবোর্ড-কী? কীবোর্ড এর কয়টি অংশ ও কীবোর্ড এর কাজ কি?

বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার অতি জনপ্রিয় মাধ্যম প্রতিটি কম্পিউটার তৈরি প্রথম থেকে ১৯৮১ সালে ৮৩ টি কি যুক্ত কীবোর্ড তৈরি হয় এবং যা ১৯৮১ সালে কিবোর্ড তৈরি হয়।কীবোর্ড হলো টাইপরাইটারের ধারণা থেকে আসা এমন একটি ডিভাইস, যাতে কিছু বাটন বিন্যস্ত থাকে, যেটি মেকানিক্যাল লিভার অথবা ইলেক্ট্রনিক সুইচের মতো কাজ করে।


কীবোর্ড হলো কম্পিউটারের প্রধান ইনপুট ডিভাইস। কীবোর্ডের কীসমূহে কী ছাপানো থাকে। কোনো চিহ্ন তৈরি করতে হলে এক বা একাধিক কী চাপতে অথবা চেপে ধরে রাখতে হবে। Xt keyboard কম্পিউটারে এ ধরনের কীবোর্ড ব্যবহৃত হতো পড়লে ইহাকে এক্সটি কীবোর্ড বলা হয় এ কীবোর্ড এর ব্যবহার বর্তমান সময়ে প্রচলিত নেই।

কীবোর্ড কি।

কীবোর্ড হচ্ছে কম্পিউটারের ডাটা ইনপুট ডিভাইস। কম্পিউটার কীবোর্ড টাইপ রাইটার কীবোর্ড এর সাথে যথেষ্ট মিল রয়েছে।

কম্পিউটারে কীবোর্ড রয়েছে যেমন ৮৩-৮৪,১০১ ১০২,১০৪ পর্যন্ত কী থাকে।

  • কম্পিউটার কীবোর্ড  এর ধরন।
  • ৮৩ কীবোর্ড
  • ১০১ কিবোর্ড 
  • উইন্ডোজ ১০৪কীবোর্ড 
  • ওয়ারলেস কীবোর্ড ।

১০১ কীবোর্ড।

১৯৮৭সালে ১০১কী  কীবোর্ড লেআউট তৈরি করা হয়। কীবোর্ড কে  Enhance কীবোর্ড বলা হয়ে থাকে।এই কীবোর্ডxt কীবোর্ড কিংবাat কীবোর্ড লেআউট ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। একই বোর্ডের কার্সার মুভমেন্ট করানোর জন্য 4tk বিশিষ্ট একটি নতুন পেজ এবং বিভিন্ন কন্ট্রোল কি সমূহকে ডুবলিকেট করে আরেকটি নতুন প্যাড তৈরি করা হয় হাকের কিবোর্ড এর দশটি ফাংশন কে ছিল অ্যাডভান্স কিবোর্ডে আরো দুটি ফাংশন-কী সহ মোট ফাংশন-কী সংখ্যা দাঁড়ায় ১২টি পরিবর্তন করে তা আলফাবেটিক কি পেটের উপর দিকে এক সারিতে সাজানো হয় এটি করে অতিরিক্ত কন্ট্রোল কিবার দুই প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে

উইন্ডোজ ১০৪ কীবোর্ড

Compatible কারণ আইবিএম কম্পিউটারের সাথে মিল রেখে ১০৪ কী ঠিকই বিশিষ্ট একটি কিবোর্ড তৈরি করে অপারেটিং সিস্টেমকে কিভাবে অপরের করার জন্য অতিরিক্ত করেন বর্তমানে ১০৪ টিকিট তৈরি করা হয়েছে।

অতিরিক্ত কী তিনটের মধ্যে দুটো উইন্ডোজকে এবং একটি হচ্ছে popup menu কি। উইন্ডোজকে দুটির উপর উইন্ডোজ লোগো দেওয়া হয়েছে স্পেস বারের বাঁদিকে যে কোন উইন্ডোজ কিপটে চাপ দিলে তা tesk Manager প্রদর্শন করবে। কারসন অবস্থানে আইটেমকে নির্বাচন করে

কীবোর্ড এর কয়টি অংশ ও এর কাজ কি?

কী-বোর্ডে ৮৪ থেকে ১০১টি বা কোন কোন কী-বোর্ডে ১০৪টি কী আছে। ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কী-বোর্ডকে মোটামুটি ৫টি ভাগে ভাগ করা যায়।

ফাংশন কী

কী বোর্ডের উপরের দিকে বাম পার্শ্বে F1 থেকে F12 পর্যন্ত যে কীগুলো আছে এদের একত্রে ফাংশন কী বলে। এদের ফাংশন কী(একত্রে) বলার কারণ এদের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করা যায় ।যেমন- কোন প্রোগ্রামের জন্য help অথবা কোন প্রোগ্রাম রান করানো ইত্যাদি কাজে এই কীগুলোর ব্যবহার করা হয়।

অ্যারো কীঃ
কী বোর্ডের ডান দিকে নিচে পৃথক ভাবে চারটি কী আছে। কোন কোন কী বোর্ডে উপরের দিকেও থাকে। কীগুলোর উপরে অ্যারো বা তীর চিহ্ন দেওয়া থাকে। যা দিয়ে খুব সহজেই কার্সরকে ডানে, বামে, উপরে এবং নিচে সরানো যায়। এগুলিকে আবার এডিট কীও বলে। কারণ টেক্সট এডিট করার কাজেও এ কীগুলো ব্যবহার করা হয়।

আলফাবেটিক কী বা আলফা-নিউমেরিক কী

কী বোর্ডের যে অংশে ইংরেজি বর্ণমালা A থেকে Z পর্যন্ত মোট ২৬টি কী আছে সাজানো থাকে সেই অংশকে আলফাবেটিক সেকশন/অংশ বলে।

নিউমেরিক কী বা লজিক্যাল কী
কীবোর্ডের ডানদিকে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা লেখা যে কীগুলো রয়েছে তাকে নিউমেরিক কী বলে। এখানে +, -, *, / প্রভৃতি অ্যারিথমেটিক অপারেটর থাকে। এছাড়াও <, >, = লজিক্যাল অপারেটরগুলো কী বোর্ডে থাকে।

বিশেষ কী বা কমান্ড কী 

উল্লেখিত কী গুলো ছাড়া কী-বোর্ডের অন্যান্য কী সমূহ কোনো না কোনো বিশেষ কার্য সম্পাদন করে বলে এদেরকে বিশেষ কী বলা হয়-

  1. Esc : এই কী এর সাহায্যে কোনো নির্দেশ বাতিল করতে হয়।
  2. Tab : পর্দায় প্যারাগ্রাফ, কলাম, নম্বর, অনুচ্ছেদ শুরুর স্থান ইত্যাদি প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুতের জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়।
  3. Caps Lock : এই কী ব্যবহার করে ইংরেজি ছোট হাতের ও বড় হাতের লেখা টাইপ করা হয়।
  4. Shift : একই ওয়ার্ডের মধ্যে বা শুরুতে বড় ও ছোট অক্ষর টাইপ করতে এই কী ব্যবহার করা হয়। যেমন : Dhaka, Khulna শব্দ দু’টি লিখতে প্রথম অক্ষরে শিফ্ট কী চেপে ধরে এবং পরের অক্ষরগুলো শিফ্ট কী ছেড়ে দিয়ে লিখতে হবে। আর বাংলা অর বা বর্ণমালা লেখার ক্ষেত্রে অক্ষর বিন্যাস্ত কী এর উপরের ও নিচের লেখা টাইপের জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়। এছাড়া শিফ্ট কী এর সাথে ফাংশন কী চেপে কম্পিউটারকে বিভিন্ন কমান্ড দেওয়া হয়।
  5. Ctrl : এই কী এর সাথে বিশেষ কী একসাথে চেপে কমান্ড দেওয়া হয়। ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্য কীবোর্ডের ডানে ও বামে এই কী ২টি থাকে।
  6. Alt : বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়ার জন্য এই কী ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয় এবং বিভিন্ন কমান্ড তৈরী করা যায়।
  7. Enter : কম্পিউটারকে কোন নির্দেশ দিয়ে তা কার্যকর করতে এই কী ব্যবহার হয়। লেখালেখির জন্য নতুন প্যারা তৈরী করতেও এই কী ব্যবহার করা হয়।
  8. Pause Break : কম্পিউটারে কোন লেখা যদি দ্রুত গতির জন্য পড়তে অসুবিধা হয় তা হলে এই কী চেপে তা পড়া যায়।
  9. Print Screen: কম্পিউটারের পর্দার দৃশ্যত যা কিছু থাকে তা সব প্রিন্ট করতে চাইলে এই কী ব্যবহার করতে হয়।
  10. Delete : কোনো বাক্য, অক্ষর বা কোনো লেখাকে মুছে ফেলতে এই কী ব্যবহার করা হয়
  11. Home : এই কী ব্যবহার করে কার্সরকে পাতার প্রথমে আনা হয়। তবে MS Word এ কোনো ডকুমেন্ট লেখার সময়ে কার্সর প্রথম পাতায় আনতে হলে Ctrl+Home একসাথে টিপতে হয়।
  12. End : এই কী চাপলে কার্সর বা পয়েন্টার যেখানেই থাকুক না কেন টেক্সট বা পাতার শেষে চলে আসবে।
  13. Page Up : এই কী ব্যবহার করে কার্সরকে উপরের দিকে উঠানো হয়।
  14. Page Down : এই কী ব্যবহার করে কার্সরকে নিচের দিকে নামানো হয়।
  15. Insert : কোন লেখার মাঝে কোন কিছু লিখলে তা সাধারণত লেখার ডান দিকে লেখা হয়, কিন্তু এই কী চেপে লিখলে তা পূর্ববর্তী বর্ণের উপরে ওভার রাইটিং হয়। কাজ শেষে আবার এই কী চাপলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
  16. Back Space : কোন লেখার পিছনের অংশ মুছে ফেলতে এই কী ব্যবহার করা হয়।
  17. Space Bar : কী বোর্ডের কীগুলোর মধ্যে এই কী টি সবচেয়ে লম্বা কোন বাক্য লেখার সময় শব্দ গুলোর মাঝে ফাঁকা করার জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়।
  18. Num Look : এই কী চাপা থাকলে ডান দিকের কী গুলো চালু হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url