এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো।

বন্ধুরা ২০২২-২৩ সালে আপনাদের জন্য খুলে দিতে পারে অনলাইনের আয় করার নতুন একটি মার্কেটপ্লেস। আপনি নতুন বছরে আপনার জীবনে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের মাইলফলক হিসেবে আজই প্রবেশ করুন এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন যে, এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে এবং অতি দ্রুত অর্থ উপার্জন এবং উচ্চতর শিকড়ে পৌঁছাতে এফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে আপনার একটি সিঁড়ি।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো।

তাই সেজন্য আপনার দরকার সঠিক পথ নির্দেশনা আর এ বিষয়ে অভিজ্ঞ জ্ঞান। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, আপনি এই আর্টিকেলটিতে আপনি জানতে পারবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর এ টু জেড সকল তথ্য। আপনি এখান থেকে সকল ধরনের প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে ধাপে ধাপে সাজানো হয়েছে।

আরো পড়তেঃ ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম।

এফিলিয়েট মার্কেটিং গাইডলাইন যাতে আপনি সহজে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর দুনিয়ায় জীবিত বা অনলাইনে উপার্জনের সূচনা করতে পারেন।তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মার্কেটিং কি মার্কেটিং এর টুলস এবং বিষয়বস্তু।আজকের এয়ারটেল দিতে এফিলেট মার্কেটিং এর সকল বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে তাই আপনার সুবিধামতো যে কোন কয়েকটি আলাদা সেকশনে তৈরি করা হয়েছে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

এফিলিয়েট মার্কেটিং হল অন্যদের প্রোডাক্টস প্রমোশন মাধ্যমে অর্থ উপার্জন একটি পদ্ধতি। এই নতুন পদ্ধতিতে নতুনদের জন্য অনলাইনে অর্থ উপার্জনের জন্য একটি একটি সুবিধা জনক উপায়। একজন এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার কাজ হল অন্যদের প্রোডাক্টস খুঁজে বের করে দেওয়া এবং এর প্রমোশন করা।

আরো পড়ুনঃ   নগদ কি-নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম

এফিলিয়েট মার্কেটিং যারা প্রোডাক্ট আপনি প্রমোট করছেন তিনি প্রতিটি সেল বা প্রতিটি লিডের জন্য আপনাকে কিছু কমিশন দিবে। আপনি যদি কোন ব্লক বা ইউটিউব চ্যানেল অথবা কোন ব্যবসা থেকে থাকে তাহলে আপনি সহজে এভাবে অন্য কারো প্রমোশনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। মজার বিষয় হল এক জন্য আপনাকে নতুন কিছু উদ্বোধন করতে হচ্ছে না শুধু মাত্র অন্যের প্রোডাক্টস অনশন করেই আপনি লাভের অধিকার অংশীদার হচ্ছেন।

আরো পড়ুনঃ হোয়াটসঅ্যাপ থেকে আয় করার সহজ উপায়।

আপনি যদি নতুন অনলাইন বিজনেস করতে হন এবং কোন ধরনের প্রোডাক্টস নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান তা নিয়ে চিন্তিত হন তাহলে খুবই সহজে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসাটি কাস্টমারদের কাছে সবার আগে পরিচিত হয়ে নিতে পারেন যা পরবর্তীতে আপনার নিজের ব্যবসাকে দ্রুত সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে।

আরো পডুনঃ ডিজিটাল মার্কেট কি?

তাহলে বুঝতে পারছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রথমে আপনি অনলাইনে ব্যবসা করি নাকি আর কাস্টমার বেজ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে রাখতে পারেন অর্থাৎ নিজের ব্যবসা শুরুর আগে এফিলিয়েট মার্কেটিং হবে আপনার প্রস্তুতিপূর্বে যা আপনাকে বাজার সম্পর্কে সাম্যক ধারনা দিতে পারবে। অ্যাভলেট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের প্রোডাক্টস উৎপাদনের ঝুঁকি পোহাতে হচ্ছে না।

আরো পড়ুনঃ   কার্ড থেকে নগদে টাকা আনার নিয়ম

অন্যের উৎপাদিত বিক্রি করে আপনি লাভবান হচ্ছেন যত বেশি প্রোডাক্টস আপনি বিক্রয় করবেন তত বেশি লাভ আপনি পেতে থাকবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পূর্ণরূপে জানতে আর এ কার্যপদ্ধতি বুঝতে আপনাকে এই ইন্ডাস্ট্রির সম্পর্কে কিছু বেসিক ট্রাম শিখতে হবে। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধাঃ

এফিলিয়েট মার্কেটিং আর্টিকেলটির সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে বোঝার জন্য যে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা গুলোর সাথে আপনার পরিচিত হতে হবে তা নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হলোঃ

আরো পড়ুনঃ ফেসবুকে লেখালেখি করে আয়

এফিলিয়েট মার্কেটিং

যে ব্যক্তি কোন প্রোডাক্টস বা সার্ভিস প্রমোশনের করে তা বিক্রির জন্য কমিশন নিয়ে থাকে তাকে এপিলেট অথবা এফিলিয়েট মার্কেটার বলা হয়।

মার্চেন্ট

এফ লেটে যারা প্রোডাক্টস বিক্রয় করা হবে, অর্থাৎ যিনি কমিশন দিতে দিয়ে থাকেন।

এফিলিয়েট প্রোডাক্টস

যে প্রোডাক্টস বা সার্ভিস বিক্রয় মাধ্যমে এফিলেট কমিশন নিয়ে থাকেন। একে অফার বলা হয়।

আরো পড়ুনঃ   ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড কি?

নেটওয়ার্ক

এটি হল একটি থার্ড পার্টি সার্ভিস যার মাধ্যমে মার্চেন্ট ও অ্যাফিলিয়েটের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়ে থাকে। এফিলিয়েট মার্কেটিং একটা নেটওয়ার্ক মার্চেন্টের সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং যোগাযোগ করানো ছাড়াও তাদের প্রোডাক্ট ও পেমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে দেখে থাকে। সেলস এবং ট্রাফিকের হিসাবে রাখাও এফিলিয়েট নেটওয়ার্কের একটি কাজ। তেমনি একটি জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক হলো amazon এসোসিয়েট।

এফিলিয়েট লিংক

এফিলিয়েট মার্কেটিং লিংক হল এটা একটি ইউনিক লিংক যার দ্বারা ট্রাফিক ট্র্যাক করা হয় এটি তৈরি ও ম্যানেজ করার কাজেও এফিলিয়েট মার্কেটিং নেটওয়ার্ক করে থাকে অবশ্য মার্চেন্ট নিজেও লিংক তৈরি করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ   দারাজে পণ্য কেনার নিয়ম-ইজি

প্রথমে আপনি কোন প্রোডাক্টটি প্রমোট করতে চান তা নির্বাচন করবেন তারপর সেই প্রোডাক্ট এর লিংক আপনার ওয়েবসাইটে পেশ করবেন অর্থাৎ লিংকটি যাতে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছায় সে ব্যবস্থা করবেন এই লিংকটি যখন কেউ ব্যবহার করবে এবং কোন প্রোডাক্ট কিনবে তখন আপনি কমিশন পাবেন।

প্রধান স্বরূপ উদাহরণস্বরূপ amazon associated এর একটি এইচটি এম এম লিংক দিয়ে থাকে, যা আপনি টেক্সট বা ইমেজ বা মোবাইল রূপে আপনার ওয়েবসাইটে রাখতে পারেন। যেমন ধরুন আপনি একটি মোবাইল ফোন প্রমোট করতে চান তাহলে আপনাকে যা করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কি

প্রথমে একটি প্রোডাক্ট পছন্দ করুন। সহজে প্রোডাক্টের এইচটি এমএল কোটি কপি করে আপনার ওয়েবসাইটে কোথাও পেজ করতে হবে অথবা ব্ল্যাংক লিংক অপশনে গিয়ে আপনার আরো সুবিধা পেতে পারেন যেমন লিংকটি আপনার ওয়েবসাইটে কিভাবে প্রদর্শন হবে ছবি বা লিংক সেটা সিলেক্ট করতে পারেন।

কমিশন

প্রতিটি সেলারের জন্য মার্চেন্ট এফিলিয়েট মার্কেটিংকে অপূর্ব নির্ধারিত অর্থ দিয়ে থাকেন।

ইপিসি

ইপিসি হলো আর্নিং পার ক্লিক অর্থাৎ প্রতিবাদ যখন কেউ এফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করবেন,সে যে পরিমাণ অর্থ পাবেন ইপিসি যত বেশি হবে উপার্জন তত বেশি হবে তাই আবার উপার্জন বেশি হলে ইপিসি বাড়বে।

আরো পড়ুনঃ আধুনিক খাটের ডিজাইন-2022

ইউনিক ক্লিক

ইউনিক কতটি ক্লিক পড়বে আপনার লিংকটিতে যদি একই ব্যক্তির তিনবার ক্লিক করে তাহলে সেটি ইউনিক ক্লিক হিসেবে নয় এবং তিনটি ক্লিক হিসেবে বিবেচিত হবে।

আরো পড়ুনঃ   মেয়েদের আংটির ডিজাইন।

কুকিজ

কুকি হলো এক ধরনের ট্যাক্স ফাইল যার দ্বারা এফিলিয়েট মার্কেটিং লিংকে ক্লিক করছেন তাদের প্রতিজনকে আলাদাভাবে একেকটি ইউনিট আইডি প্রদান করা হয়। এটি ভিজিটরদের ওয়েব ব্রাউজারে সেভ থাকে এবং এটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তারা আপনার কাস্টমার হিসেবে পরিবর্তন হয় পরিগণিত হয়।

আরো পড়ুনঃ  কিবোর্ড এর দাম কত?

এর সুবিধা হল এই যেযদি কোন কাস্টমার একবার লিংকে ঢুকে বের হয়ে যায় কিন্তু পরে এসে প্রোডাক্ট কিনে তবু আপনি তার কমিশন পাবেন।

কুকির মেয়াদ

অ্যাফিলিয়েড নেটওয়ারকের একটি মেয়াদ ঠিক করে দিবেন অর্থাৎ সেই মেয়াদের পর বিক্রয় হলে আর সেটার জন্য এফিলিয়েট কমিশন পাবেন না।বিষয়টি এমন ভাবে বলা যায় ধরুন।

আরো পড়ুনঃ  ব্লগের জন্য লোগো

 কুকের মেয়াদ

এফিলিয়েট মার্কেটিং নেটওয়ার্ক থেকে থ্রি ৩ দিন ধরে দেওয়া হল।তাহলে কোন কাস্টমার যদি আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং লিংক দিয়ে মার্চেন্ট আর ওয়েবসাইটে চাই কিন্তু তখন কেনাকাটা না করে তাহলেও অসুবিধা নেই সেই কাস্টমার ৩০ দিনের মধ্যে কেনাকাটা করলে আপনি তার জন্য কমিশন পাবেন।

আরো জানতেঃ উপায় মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খোলার নিয়ম। 

কনভারশন

আপনি যখন কোন পোটেনশিয়াল কাস্টমার আপনার কাঙ্ক্ষিত কাজটি করবেন সেটাকে বলা হয় conversion যেমন আপনি যদি মার্চেন্ট বিলটি এমন হয় যে আপনি প্রতিটি ছেলের জন্য কমিশন পাবেন তাহলে যখন কাস্টমার কোন কিছু কিনবে সেটাই কনভার্শন।

আরো পড়তেঃ নতুন বোরকার ডিজাইন ২০২২

আবার এমন হতে পারে যে প্রতিটি লেড লিডের জন্য কমিশন পাচ্ছেন তাহলে কাস্টমার যখন মার্চেন্ট কে তার ইমেজ এড্রেসটি দিবে অথবা কোন অনলাইন ফর্ম ফিলাপ করবে সেটি কনভার্শন হিসেবে বিবেচিত হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এখন পর্যন্ত যা আলোচনা করা হয়েছে তা থেকে আশা করে আপনি বেসিক ট্রামগুলো বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আমরা এখন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি কাজ করে সে বিষয়ে আলোচনা করতে পারি। এখন পাঁচটি ধাপ রয়েছে যেগুলো এফিলিয়েট মার্কেটিং হিসেবে বিবেচিত ধাপগুলো হলোঃ

আরো জনতেঃ ক্রেডিট কার্ড কি?

১. আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং নেটওয়ার্ককে সাইন আপ করুন।
২. এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য একটি এফিলিয়েট প্রোডাক্ট পছন্দ করুন।
৩. এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোডাক্টটি প্রমোট করুন।
৪. ক্রেতারা আপনার লিংক দিয়ে প্রোডাক্টটি ক্রয় করবে।
৫. আপনি কমিশনে টাকা পাবেন।

সর্বশেষ কথাঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলেট মার্কেটিং হল একটি অনলাইন আয়ের অন্যতম মাধ্যম যার সাহায্যে আপনি অনলাইন থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন এবং কিভাবে আপনি অনলাইন থেকে আয় করবেন বিস্তারিত মার্কেট সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এর কাজ কি।এফিলিয়েট মার্কেটিং

More read>>> 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url