জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ২০২২। স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত

বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন আইন ২০১০ ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ সালে ৬ নম্বর আইন অনুসারে ভোটার তালিকা হিসেবে তালিকাভুক্ত প্রত্যেক নাগরিক  জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তসাপেক্ষে জাতীয় পরিচয় পত্র পাইবার অধিকার রাখিবে সকলে।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন দুই উপধারা এক এর যা কিছুই থাকুক না কেন কমিশন অন্যান্য নাগরিকের ন্যায় নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তসাপেক্ষে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ জাতীয় পরিচয় সংশোধন ২০২২

জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন যেভাবে করবেন ।

জাতীয় পরিচয় পত্র বায়োমেট্রিক্স ফিচার (Biometrics feature)”অর্থ কোন নাগরিকের নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ আঙ্গুলের ছাপ (Finger Print), হাতের ছাপ (Hand Geometry), তালুর ছাপ (Palm Print), চক্ষুর কনীনিকা (Iris), মুখাবয়ব (Facial Recognition), ডি এন এ (Deoxyribonucleic acid), স্বাক্ষর (Signature), এবং কণ্ঠস্বর (Voice) এসব এর যে কোনো দুই বা ততোধিক মাধ্যমকে ইলেক্ট্রনিক্স পদ্ধতিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কি

বর্তমানে নতুন ভোটার বা জাতীয় পরিচয় পত্র হতে হলে কোন প্রকারের ফি গুনতে হয় না। তাই আপনি নির্বাচন কমিশনারের দালাল হতে সাবধান থাকুন। অনলাইন বা ম্যানুয়ালে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করলে আবেদন করলে ভোটার হতে পারবেন। নতুন ভোটার হতে ১৫ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে তাই অনলাইন যদি আপনি তথ্যগুলো সঠিক ভাবে ইনপুট দিতে থাকেন এবং সংযুক্ত কাগজপত্র গুলো সঠিকভাবে সংযুক্ত করে থাকেন অতি দ্রুত নতুন নিবন্ধন হয়ে যাবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ২০২২।

জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন এনআইডি কর্পোরেশন ফি ২০২২ বর্তমানে বিকাশ, রকেট, নগদ, মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ফ্রি জমা দেয়া যায়। আপনি চাইলে সরকারি চালান ফর্মের এটি জমা দিতে পারেন তবে মনে রাখবেন মূল টাকা এবং ভ্যাট আলাদা আলাদা ভাবে জমা দিতে হবে, চালান জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে।

আরো পড়ুনঃ মোবাইলে গান ডাউনলোড করার উপায়

স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত ও কার্যদিবস

স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন ফি মূলত দুইটি ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।

১.স্মার্ট কার্ডের সামনের এবং পেছনের পৃষ্ঠায় কিছু তথ্য তথ্য প্রদর্শন করা থাকে। যেগুলো নিবন্ধনের সময় নাগরিকরা ফর্ম-২ এর মাধ্যমে প্রদান করে থাকেন। এগুলোর মধ্যে সামনের পৃষ্ঠায় বাংলা ও ইংরেজিতে জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর নাম, বাংলায় পিতা ও মাতার নাম, 

আরো পড়ুনঃ  গুগল নিউজ এপ্রুভাল পাওয়ার নিয়ম।

ইংরেজিতে জন্ম তারিখ ও এনআইডি নাম্বার, স্বাক্ষর এবং পেছনে বাংলায় ঠিকানা, ইংরেজিতে রক্তের গ্রুপ ও জন্মস্থান অন্তর্ভুক্ত থাকে। এগুলোর মধ্যে যেকোনো তথ্য পরিবর্তন করতে হলে প্রথমবার আবেদনের সময় ২৩০ টাকা দ্বিতীয়বার ৩৫০ টাকা এবং তারপর থেকে প্রতিবার আবেদনের জন্য ৫৭৫ টাকা জমা দিতে হবে।

২.নিবন্ধনের সময় নাগরিকরা যে ফর্মের মাধ্যমে কিছু তথ্য প্রদান করেন যেগুলো এনআইডি কার্ডের প্রদর্শন করা থাকে না। যেমন, প্রার্থীর পেশা পাসপোর্ট, মোবাইল নাম্বার, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি। এগুলোর সংশোধনের জন্য ১১৫ টাকা প্রদান করতে হয়।

আরো পড়ুনঃ  ঘরে মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান

স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন ফি বিকাশ, রকেট এর মাধ্যমে ঘরে বসে পরিশোধ করা যায়। নির্ধারিত ফি পরিশোধের ৩০ মিনিট পর থেকে তথ্য সম্পাদন শুরু করা যাবে। আর সংশোধিত স্মার্ট আইডি কার্ড হাতে সর্বোচ্চ দুই মাস সময় লাগতে পারে।

পরিশেষে আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং পরবর্তীতে এই জাতীয় যে কোন তথ্যের জন্য আপনি আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনার বুকমার্ক করে রাখতে পারেন। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন ও সংশোধন ২০২২।

জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করতে যেসব ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র প্রয়োজনীয় সেগুলো হলোঃ

ফরর্ম -২ এর উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র সহ সনদের কপি। জন্ম ০১-০১-১৯৯৮ সালের পূর্বে হলে ম্যাচিং রিপোর্ট এবং অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের কপিলসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর কমিশনার কমিশনার করতে প্রদত্ত নাগরিকের নাগরিকত্ব সনদ। ব্যক্তির অভিযুক্ত ছবি যুক্ত সহ জন্ম ০১-০১-২০০০ সালের পূর্বে ওটা না হওয়ার কারণ উল্লেখ করে ১০০ টাকা ইস্ট্যামে নিজে কর্তৃক হলফনামার মুলকপি (ব্যক্তির ছবিসংযুক্ত সহ)

জাতীয় পরিচয় পত্রের নিজের বাড়ির বিদ্যুৎ বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স, খাজনা রশিদ কপি। ভাড়া টিয়া হলে বাড়িওয়ালা হ্যান্ডি কপি বিদ্যুৎ বিল বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়া কর্তৃক ২০০ টাকা স্ট্যাম্পের বাড়ি ভাড়া চুক্তিপত্র সহ পিতা মাতা স্বামী/স্ত্রী এনআইডি কপি এবং পিতা-মাতা হলে মৃত এবং স্বামী বা স্ত্রী ওটার না হলে স্বামী-স্ত্রী কাবিননামা।

আরো পড়ুনঃ  নতুনদের ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ১১টি টিপস
  • প্রবাসী হলে এরাইভাল শীল ও তারিখ সহ সহ পাসপোর্টে কপি। রক্তের গ্ররুপ রিপোর্ট এর কপি।
  • আর যদি বয়স ৪০ এর মধ্যে হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক হলফনামা কপি।
  • নিবন্ধন ফরর্মের ৩৪ ও ৩৫ নম্বর সনাক্তকারী হিসেবে বাবা মা স্বামী/স্ত্রী বাড়িওয়ালার নাম্বার ও স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে।
  • নিবন্ধন ফরমেট ৪০, ৪১, ৪২ নাম্বার যাচাইকারি হিসেবে ওয়ার্ড সংযুক্ত করতে হবে।

নতুন ভোটারদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি সত্যায়িত হতে হবে।

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আপনাকে সকল কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হবে। ফর নাম্বার ২ অর্থাৎ অর্থাৎ নিবন্ধিত ফর্ম সত্যায়িত করতে হবে না কিন্তু অন্যান্য সংযুক্ত সকল কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হবে কমিশনার কর্তৃক নাম নাম্বার এবং সিএল স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে যথাযথ কাগজপত্র সংযুক্ত না করে আবেদন করলে আবেদন বাতিল হতে পারে এক্ষেত্রে আবেদন বাতিল হলে পুনরায় আবেদন করতে হবে।

    আরো পড়ুনঃ  SEO: এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট লেখার নিয়ম

    নতুন ভোটা হওয়ার যোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি নতুন ফরর্ম তৈরি করা হয়েছে প্রতিটি ফর্মের নম্বর যুক্ত এবং প্রশাসনের ক্ষুদ্রতম ইউনিটের জিও কোড এর সাথে সদস্যপূর্ণ নিবন্ধন ফরর্ম ডাউনলোড করতে পারেন।

    সর্বশেষ কথাঃ জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ২০২২।

    একজন মানুষ তার নতুন ভোটার হওয়া যেমন জরুরি ঠিক নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য তার সকল কাগজপত্র সঠিকভাবে ফরম পূরণ করে তা আবেদন করা জরুরী তাই একজন ভোটার হওয়ার জন্য নাগরিকের তথ্যসমূহের জন্য অনলাইনে মাধ্যমে নিবন্ধন ফরমে প্রয়োজনে কাগজপত্র সহ আবেদন করতে হবে।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url